গালে সপাটে চড় ম‍্যানেজারকে ! সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে সারের কালোবাজারীর অভিযোগ

19th August 2020 8:29 pm বাঁকুড়া
গালে সপাটে চড় ম‍্যানেজারকে ! সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে সারের কালোবাজারীর অভিযোগ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  সারের কালোবাজারি, সমবায় সমিতিতে আছড়ে পড়ল বিক্ষোভ। ভাঙচুর ও ম্যানেজারকে চড়  চাষীদের ।

সারের কালোবাজারি করার অভিযোগে এবার স্থানীয় সমবায় সমিতি ঘেরাও করে চাষীদের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল। শুধু বিক্ষোভই নয় ওই সমবায় সমিতির দফতরে ঢুকে হালকা ভাংচুর করল চাষীরা। চড় মারা হল সমবায় সমিতির ম্যানেজারকে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের কাঁকরডাঙ্গা এলাকায় থাকা পাত্রসায়ের থানা কো অপারেটিভ মার্কেটিং সোসাইটি লিমিটেডের দফতরে। ঘটনার খবর পেয়ে পাত্রসায়ের থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপরই ওই সমবায় সমিতির ম্যানেজার ও কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের দাবিতে পাত্রসায়ের থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার চাষীরা। 


এদিন সমবায় সমিতির দফতরে বিক্ষোভরত চাষীদের দাবি আমন ধানে চাপান সার দেওয়ার জন্য অন্যান্য বছরের মতোই সম্প্রতি পাত্রসায়ের থানা কো অপারেটিভ মার্কেটিং সোসাইটিতে প্রায় পাঁচ'শ বস্তা ইউরিয়া সার আনা হয়। সমিতির সদস্য চাষীদের মধ্যে নাহ্য মূল্যে এই ইউরিয়া সার বিক্রি করার কথা ওই সমবায় সমিতির। স্থানীয় চাষীদের অভিযোগ ওই সার চাষীদের বিক্রি না করে সমিতির কর্মকর্তাদের কথা মতো ম্যানেজার কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে দিয়েছেন। সম্প্রতি এই বিষয়টি জানতে পারেন এলাকার চাষীরা। এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকী দিয়েছেন চাষীরা। সমবায় সমিতির ম্যানেজার তাঁর ভূল স্বিকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবী চাপের মুখে পড়ে তাঁকে এমন কাজ করতে হয়েছে। সমবায় সমিতির কর্মকর্তা তথা এলাকার তৃনমূল নেতা নব পালের অনুমতিতে এই কাজ হয়েছে বলে এদিন লিখিত মুচলেকা দেন সমবায় সমিতির ম্যানেজার সত্যনারায়ন দে। বিষয়টি নিয়ে নব পালের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। 
 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।